শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ে মাল্টা চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। পাহাড়ি টিলা আর টিলা ঘেঁষা পতিত জমিতে অনেকেই এখন মাল্টা চাষ করছেন। মাল্টা চাষ খুব লাভজনক হওয়ায় ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ি উপজেলাসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে মাল্টা চাষ । ঝিনাইগাতী প্রতিনিধি নাহিদ হাসান শ্যামলের পাঠানো তথ্য চিত্রে বিস্তারিত জানাচ্ছেণ শামীম আহমেদ।
https://www.youtube.com/watch?v=KObWd1o4M-c
ধান চাষের উপযোগী সমতল এবং পাহাড়ি টিলা ঘেষা পতিত জমিতে সম্ভাবনাময় ফল মাল্টার চাষ করে সফলতার মুখ দেখতে শুরু করেছেন শেরপুর জেলার হাজারো কৃষক । ঝিনাইগাতি উপজেলার গৌরিপুর ইউনিয়নের গিলাগাছা এলাকায় ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লা আল-আমিন,মেহেদি মাহিন,বাধন শাহ,হাসিবুল হাসান,আওয়াল মহসিন ও রুবেল মিয়া সহ ৬ জন যৌথ ভাবে সারে ৩ একর(৩.৫) জায়গা নিয়ে বানিজ্যিক ভাবে মালটা চাষ শুরু করেন। প্রতিদিন মাল্টা বাগান পরিচর্যার মধ্যদিয়ে এই বাগানটিতে প্রতিদিন ৫ জন শ্রমিক পরিচর্যার কাজ করে থাকেন । বাগানটির চারপাশ ভাল ভাবে নেট দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।
পাতার ফাঁকে ফাঁকে উকি দিচ্ছে মাল্টা,বাগান থেকে ভাল লাভের জন্য তারা মাল্টার পাশাপাশি আরো কিছু ফলজ গাছ লাগিয়েছেন। বাগানে মোট ১০৬ টি লাইন করে মোট ২৮১৫(দুই হাজার আটশত পনের)টি গাছ লাগানো হয়েছে,এর মধ্যে ৯২১ টি মাল্টা গাছ,৫০০ টি কমলা গাছ,১২০০টি পেয়ারা গাছ,৫ টি আনার,৩ টি বরই এবং ১৮৬ টি পেঁপে গাছ রয়েছে। কম্পোস্ট, কেঁচো বা ভার্মিকম্পোস্ট, খৈল ও গোবরসহ বিভিন্ন জৈবসার ব্যবহারে প্রাকৃতিক বেড়ে উঠা বাগানের ওইসব গাছে এখন থোকায় থোকায় ঝুলছে ছোট বড় হাজারো মাল্টা। ফলের ভারে পুরো বাগানের গাছগুলো যেন নুয়ে পড়েছে।
কৃষি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন তার বাগান দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন। গাছে থোকায় থোকায় মাল্টা ধরায় এ অঞ্চলে মাল্টা চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখছেন কৃষি বিশেষজ্ঞ ও চাষীরা। মাটির গুণাগুণ বিবেচনায় বৃহত্তর সিলেট, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও পঞ্চগড় জেলায় চাষ উপযোগী হলেও সমতল অঞ্চলে মাল্টা ও কমলা লেবুর মতো বিদেশি ফলের ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব।
শখের বসে বাড়ীর আঙ্গীনায় ২-৪ টি করে মাল্টা গাছ রোপণ করে সুফল পাচ্ছেন অনেকেই । কেউ কেউ আবার বাণিজ্যিক ভাবে মাল্টা বাগান করার লক্ষ্যে ধানের আবাদি জমি নির্বাচন করে বাগান করার কাজ শুরু করেছেন। প্রতিটি মাল্টার ওজন গড়ে ১৫০ গ্রাম থেকে ২০০ গ্রাম হয়ে থাকে।
নাহিদুল ইসলাম শ্যামল ঝিনাইগাতি প্রতিনিধি,